loader

News Details

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫৩ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫৩ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন

16th Jun, 2019

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৫৩ শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন ৪৪১ শ্রবণ প্রতিবন্ধী কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হলো॥ নিজ খরচে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন করেছেন ৩৫ জন  

১১৭ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে নামমাত্র মূল্যে ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট ডিভাইস-এর বরাদ্দপত্র বিতরণ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টাতেই এত উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া  কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচীর আওতায় এ পর্যন্ত ৩৫৩ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর  কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সম্পন্ন হয়েছে এবং শীঘ্রই আরো ৬ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর  কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হবে। এসকল শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা অধিকাংশই শিশু।  এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট  কার্যক্রম, বিএসএমএমইউ-এর উদ্যোগে আজ ১৬ জুন ২০১৯ইং তারিখ রবিবার সকাল  ১১টায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লকের অডিটোরিয়ামে ১১৭ শ্রবণ প্রতিবন্ধী  শিশুর মাঝে অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা “কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট”-এর বরাদ্দপত্র  নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হয়। এর আগে বিনামূল্যে ও নামমাত্র মূল্যে ৩২৪  শ্রবণ প্রতিবন্ধীর মাঝে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস বা যন্ত্র বিতরণ করা  হয়েছিল। সবমিলিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়  প্রদত্ত কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস গ্রহীতার সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ৪৪১  জনে উন্নীত হলো। এরবাইরে ইতোমধ্যে ৩৫ জন নিজ খরচে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট  সম্পন্ন করেছেন। আজ ১৬ জুন ২০১৯ইং তারিখে ১১৭ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে  “কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট”-এর বরাদ্দপত্র বিতরণ  অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

 আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব জনাব জুয়েনা  আজিজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক  কনক কান্তি বড়ুয়া। সম্মানিত  অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ  অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম-এর কর্মসূচী  পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল হাসনাত জোয়াদার। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট  গ্রহীতাদের বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব  মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এবিএম আব্দুল হান্নান।  শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের   নাক কান গলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ  মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সিনিয়র সচিব জনাব জুয়েনা আজিজ বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছাতেই সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মহতী  কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন হচ্ছে। কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নও  বর্তমান সরকারের অবদান। এই কর্মসূচীর কারণে শিশুসহ শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা  উপকৃত হচ্ছে।  

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল  বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক  কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টাতেই দেশের এত উন্নয়ন ও এগিয়ে  যাওয়া সম্ভব হয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের ১০ লাখ টাকার কক্লিয়ার  ইমপ্লান্ট ডিভাইস বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। ডিভাইস এর সাথে সাথে এ সংক্রান্ত  চিকিৎসাসেবাও বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল  দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়েছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।  

বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক  ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়  ছাড়াও  কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজ ও ইনস্টিটিউটে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট হচ্ছে।  এরমাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা ভীষণভাবে উপকৃত হচ্ছে।  

বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা.  মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম শিশুসহ শ্রবণ  প্রতিবন্ধীদের জীবনে আশার আলো নিয়ে এসেছে। এই মহতী ও শুভ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন পাশে থাকবে।  

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট কার্যক্রম-এর কর্মসূচী পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল  হাসনাত জোয়াদার বলেন, কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট-এর কারণে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা কানে  শুনতে পাচ্ছেন, কথা বলতে পারছেন, তারা বোঝা না হয়ে সমাজের মূল ¯্রােত  ধারায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।  ছবি: মোঃ সোহেল গাজী। নিউজ: প্রশান্ত  মজুমদার।